পবিত্র কিছু গাছ ও প্রাণী

প্রকাশঃ আগস্ট ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

proivtro

এই পৃথীবিতে অনেক রকম গাছপালা ও প্রাণী রয়েছে। আবার এই সব গাছপালা ও প্রাণীকে একেক ধর্মে একেক স্থানে পবিত্র বলে মনে করে। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে মর্যাদার আসনে রাখে সেই গাছপালা ও প্রাণীগুলোকে। সেরকম কিছু প্রাণী ও গাছপালার কথা থাকছে আজ প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য।

বেবুন : ভয়ংকর আক্রমণাত্মক মেজাজের প্রাণী বেবুন। এ ধরনের প্রাণী দেখলে কারও পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে এমন একটা প্রাণীকেই একসময় মিশরের মানুষ ‘স্বর্গীয়’ মনে করত। প্রাচীন মিশরে বেবুনকে বিজ্ঞান এবং চাঁদের অবতার মানা হত।

খেজুর : খেজুরেরও একসময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কদর ছিল। খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা দীর্ঘকাল খেজুরগাছকে পুনরুত্থানের প্রতীক হিসেবে ভক্তিভরে শ্রদ্ধা করেছে।

গুবরে পোকা : মিশরে আবার পুনরুত্থানের প্রতীক ভাবা হত গুবরে পোকাকে। গুবরে পোকাকে পুনরুত্থানের প্রতীক ভেবে একরকম পূজাই করত প্রাচীন মিশরের মানুষ।

বানরের রুটির গাছ : আফ্রিকার বাওবাব নামে একটি গাছ রয়েছে। এ গাছটির ওপর থেকে নিচ পর্যন্তই শেকড়। আফ্রিকায় এই বাওবাব গাছের আদুরে নামও অনেক। কেউ বলে ‘জীবনের গাছ’, কেউবা ডাকে ‘বানরের রুটির গাছ’ নামে। অনেক রোগের চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করা হয় বাওবাব গাছের পাতা।

সারসপাখি : বেবুনের মতো সারসপাখিকেও খুব ভক্তি করত প্রাচীন মিশরের মানুষ। এর সঙ্গেও ঈশ্বরের একটা যোগসূত্র খোঁজা হত। কেউ কেউ তো সারসকে ‘ঈশ্বরের সেক্রেটারি’ ধরে নিয়ে তার মন জয় করারও চেষ্টা করত!

ডালিম : ডালিমের বিশেষ কদর অনেক ধর্মেই ছিল। উর্বরতা, ভালবাসা এবং জীবনের প্রতীকও ভাবা হত লাল টুকটুকে এ ফলকে। গ্রিসের মানুষ একসময় মনে করত, দেবী আফ্রোদিতির খুব পছন্দের ফল ডালিম। তাই প্রতিটি বাড়ির সামনে লাগানো হত একটা করে ডালিমগাছ।

পদ্মফুল : পদ্মফুল হিন্দুদের কাছে খুব পবিত্র। বিষ্ণু দেব এবং দেবী লক্ষ্মীর পূজা পদ্মফুল ছাড়া ভাবাই যায় না।

ইঁদুর : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইঁদুরেরও খুব কদর। গণেশের বাহন হিসেবে অনেক পূজামন্ডপেও দেখা যায় ইঁদুরের প্রতিমূর্তি।

প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G